প্রচ্ছদফিচার

 গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজর সাধারণত কমলা রঙের হয়ে থাকে। এটি একটি সুস্বাদু সবজি। গাজর শীতকালীন সবজি। সারা বছর সচরাচর পাওয়া যায় না। এই সবজিটি নানা রকম রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাজর সালাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পোলাও, খিচুড়ির সাথে মিশিয়েও গাজর রান্না করা যায়। এছাড়া গাজরের আচার, হালুয়াও দারুণ। গাজরের স্বাদ সাধারণত হালকা মিষ্টি হয়। ওজন কমানোর জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। এটি নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়া গাজর খেলে লিভারের উন্নতি হয় এবং হজমশক্তি বাড়

গাজরের উপকারিতাঃ গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তা করে। শরীরে কোথাও ক্ষত হলে তা দ্রুত ভালো হয়। এ ছাড়া গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর আঁশে পরিপূর্ণ। এটি ডায়াবেটিকসে আক্রান্তদের বেশি পরিমাণে গাজর খাওয়া প্রয়োজন। এতে আছে ফাইবার গ্লুকোজ মেটাবলিজম ফলে উন্নতি লাভ করে। গাজর খেলে ফুসফুস ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। আবার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি- যা ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তুলে।

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজর রোদে পোড়ার হাত থেকে  ত্বককে রক্ষা করে। আরো এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা ত্বকের ভাঁজ পড়া, কালো দাগ ইত্যাদি দূর করে ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা করে তুলে। শিশুদের কৃমি রোগে গাজর খেলে অনেক উপকার হয়। একটি গাজর কেটে ২০-৪০ মিলি জুস তৈরি করে খাওয়ালে কৃমি রোগ নিরাময় হয়। গাজর অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এটি মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গাজর ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজরে মূলত দুই রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। একটি হল ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যটি অ্যান্থোসায়ানিন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য এই দু’টি খুবই কাজের। গাজর মানবদেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। গাজর খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করে। গাজর হজম শক্তি বাড়ায়।

পরিশেষে বলা যায় গাজর মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

গাজরের অপকারিতাঃ গাজরের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। যেমনঃ গাজর খাওয়া উপকারি বলে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এতে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ফলে মানবদেহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গাজর খাওয়া উচিত। যেমনঃ অল্প বয়সী শিশুরা বেশি গাজর খেলে তাদের দাঁতের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শিশুদের জন্য অল্প পরিমাণ গাজর খাওয়া উচিত। এতে শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

গরমে বেশি গাজর খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিদ্রা হতে পারে। তাই গরমে বেশি গাজর খাওয়া উচিত নয়। তাই শীতকালে গাজর খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। অতিরিক্ত গাজর খেয়ে থাকলে পেটের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। যেমনঃ পেটব্যথা, ডায়রিয়া, বদহজম  ইত্যাদি। সুতরাং গাজর যেমন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এটি বিপদজনকও হতে পারে। তাই গাজর পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া উচিত।

 

আরো পড়ুনপাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

error: Content is protected !!