প্রচ্ছদফিচার

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা একটি সুস্বাদু ফল। এই ফল খুব সহজেই সর্বত্র পাওয়া যায়। যেমন সহজে পাওয়া যায় তেমনি ক্যালরির চাহিদাও পূরণ করে এটি। ক্যালরি ছাড়াও এতে আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেমন: ভিটামিন, আয়রন, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানও রয়েছে এতে। এ সকল উপাদান মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।  এই ফল বারো মাসেই পাওয়া যায়। অন্য ফল থেকে তুলনামূলক দামও অনেক কম। কলা  নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। যেমন-

কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করেঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বেশি পাকা কলা ইন্টারনাল কোষ ও রেডিক্যাল কোষের কারণে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে। কলা কোষের রোগ প্রতিরোধ করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ অতি পাকা কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে এবং কম সোডিয়াম থাকে। পাকা কলায় পটাশিয়াম বেশি থাকার কারনে নিয়মিত এই কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমতে সাহায্য হয়। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করেঃ পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকার কারণে বেশি পাকা কলা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।পাকা কলা খাওয়ায় মানবদেহে রক্ত পরিষ্কার হয়।

শক্তি জোগায়ঃ উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকার কারণে বেশি পাকা কলা শরীরে শক্তি জোগাতে কাজ করে। দুটো পাকা কলা টানা ৯০ মিনিট ব্যায়ামের শক্তি জোগায়। পাকা কলা কাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কলার মধ্যে আঁশ থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে উপকারী। এটি হজম ভালো করতেও কার্যকর। এতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি ও সি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

তারুণ্য ধরে রাখে কলাঃ তরুন্য ধরে রাখতে বেশি বেশি কলা খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান কোষকে অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের কোষে পানির পরিমান বৃদ্ধি করে কলা তাই ত্বকের লাবণ্যতা বজায় থাকে।

এর ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। কলার ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বককে ফ্রিরেডিকেলজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কলাঃ বেশি পাকা কলাতে TNF-A নামক এক ধরণের যৌগ আছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাকা কলায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি ও সি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

কলাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এটি মানবদেহের জন্য অনেক উপকরী। কিন্তু কলা বেশি পেকে গেলে এর ভিটামিন এর পরিমানও বেশি হয়। কলা খাওয়ার ফলে মানুষের ত্বক ফর্সা হয়। তাই সকল মানুষের কলা খাওয়ার প্রয়োজন। এটি সীমিত মুল্যে সারা বছর পাওয়া যায়। কলা একটি সুস্বাদু ফল। এটি নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি মানবদেহের শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকে কার্যকরী। পরিশেষে বলা যায়, পাকা কলার গুনগত মান ব্যাপক। মানবদেহের শক্তি উপার্জনের সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখে পাকা কলা।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

আরও পড়ুন- গাজরের উপকারিতা

error: Content is protected !!