বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে তার সমাধান
বর্তমান তথ্যপ্রযু্ক্তির যুগে মানুষ সব কিছুতেই টেকনোলোজির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। টাকাপয়সা লেনদেনের জন্য একসময় মানুষ ব্যাংকিং করতো- যা ছিলো হাতেকলমে। ব্যাংকিং সেবা একসময় পুরোপুরি ভাবে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবায় পৌঁছেছে। ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিং সেবার অন্যতম একটি শাখা হলো মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। অর্থ্যাৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব সহজে মূহুর্তেই ব্যাংকিং সেবা (টাকা আদান প্রদান) গ্রহণ করা যায় বলে তাকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বলে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা খুবই জনপ্রিয় একটি খাত। দৈনিক কোটি কোটি টাকা লেনদের হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ব্যাংক এই সেবা প্রদান করছে। ব্র্যাক ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম বিকাশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড(ডিবিবিএল) এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম রকেট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মালিকানাধীন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম নগদ, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম সেলফিন, রূপালী ব্যাংক এর মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবার নাম শিওরক্যাশ ইত্যাদি।
এসকল কোম্পানীগুলোর মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ কোম্পানী বহুল গ্রাহকপ্রিয় কোম্পানী। গ্রাহক সংখ্যা এবং লেনদেন মিলিয়ে বিকাশকেই দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল কোম্পানী হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে তার সমাধান
বিকাশ মোবাইল একাউন্ট চার ধরনের হয়ে থাকে। যথা- ব্যক্তিগত একাউন্ট, মার্চেন্ট বা ব্যবসায়িক একাউন্ট, পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট এবং এজেন্ট একাউন্ট।
কাস্টমারদের অসচেতনতা বা বিভিন্ন কারণে পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টগুলো প্রায়শঃই বন্ধ হয়ে যায়। কখনও আবার ডিজেবল হয়ে যায়।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে তার সমাধান এর জন্য প্রথমত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭ এ কল করতে হবে। হেল্পলাইনে কল করলে যার নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে অর্থ্যাৎ যার এনআইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে তিনি নিজে হেল্পলাইনে কল করতে হবে। কল করার সময় এনআইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে। কারণ বিকাশ হেল্পলাইন এর এজেন্ট এনআইডি নম্বর এবং জন্মতারিখ জানতে চাইতে পারে।
এছাড়াও বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স এর পরিমাণ এবং সর্বশেষ দুটি লেনদেন এর ধরণ এবং পরিমাণ জানতে চাইতে পারে। এই তথ্যগুলো এজেন্টকে প্রদান করলে সহজেই ডিজেবল সার্ভিস দিতে পারবে। হেল্পলাইন থেকে যদি কাঙ্খিত সেবা না পাওয়া যায় তবে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সশরীরে ভিজিট করতে হবে। দেশের সকল মহানগর, সকল বিভাগীয় শহর, সকল জেলা শহর, গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বা বড় বাজারগুলোতে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানীসমূহ