বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায়
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায়
বাংলাদেশ প্রাচীন কাল থেকেই কৃষি প্রধান দেশ হলেও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের মানুষের জীবীকা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে কৃষির উপর নির্ভরতা কমিয়ে জনশক্তি রপ্তানী খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হয়ে ওঠেছে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসে। প্রবাসী কর্মজীবীদের মাধ্যমে দেশে প্রেরিত এই অর্থ দেশের রিজার্ভকে যেমন শক্তিশালী করে তুলেছে তেমনি প্রবাসীদের পরিবারগুলোও অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করছে।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে। সবগুলোই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায়
তুলে ধরা হলো-
১. সরাসরি ব্যাংক একাউন্ট: বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচাইতে সহজ, নিরাপদ ও জনপ্রিয় উপায়গুলোর মাঝে অন্যতম হলো ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো। বাংলাদেশের যেকোনো বাণিজ্যিক বা তফসিলি ব্যাংক, যার ব্যাংকিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং চ্যানেল নেটওয়ার্ক SWIFT এর সদস্য এমন ব্যাংকের মাধ্যমে খুব সহজেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে এই পদ্ধতিতে যত টাকাই আসে তার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক নথিভুক্ত করে রাখে এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এর টাকার উপর প্রণোদনা হিসেবে সরকার ২.৫% টাকা নদগ প্রদান করে থাকে।
২. বিকাশ (bKash): বিদেশ থেকে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পাঠানোর আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বিকাশ। বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক এর একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো বিকাশ। বিদেশের বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েঝে বিকাশ। যেকোনো দেশের কোনো মানি এক্সচেঞ্জ হাউসে গিয়ে বাংলাদেশের বিকাশ এ টাকা পাঠানোর কথা বললে সহজেই সেখানকার সার্ভিস প্রোভাইডাররা সহজে এ সেবা প্রদান করে থাকেন। বিকাশ এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এর টাকা পাঠালেও বাংলাদেশ সরকার তার উপর প্রণোদনা হিসেবে নগদ ২.৫% টাকা প্রদান করে থাকে।
৩. ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন: বাংলাদেশে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জনপ্রিয় ও সবচাইতে পুরোনো একটি মাধ্যম হলো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন (Western Union)। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে কাঙ্খিত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে এই মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে টাকা পাঠালেও বাংলাদেশ সরকার ২.৫ঁ নগদ প্রণোদনা প্রদান করে থাকে।
৪. ওয়াইজ (Wise): ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে ওয়াইজ। এটি প্রথমে ট্রান্সফারওয়াইজ নামে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়াইজ’ নামে কাজ করছে। বিদেশের যেকোনো মানি এক্সচেঞ্জ এর শাখা থেকে ওয়াইজ এর মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মতোই টাকা পাঠানো যায়। ওয়াউজ এ টাকা পাঠালেও বাংলাদেশ সরকার ২.৫% নগদ প্রণোদনা প্রদান করে থাকে।
৫. মানিগ্রাম (MoneyGram): বাংলাদেশে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো আরো একটি মাধ্যম হলো মানিগ্রাম। এর মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মতোই টাকা পাঠানো যায়। এবং এতেও বাংলাদেশ সরকার ২.৫% প্রণোদনা প্রদান করে থাকে।
উপরোক্ত মাধ্যমগুলো ছাড়াও বাংলাদেশে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ নিয়ম বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ নিয়ম হলো Payonner, Skrill, Xoom ইত্যাদি মাধ্যমে টাকা পাঠানো।
আরো পড়ুন- বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো