ফিচার

মাথার চুল পাকা রোধের উপায়

আমাদের সমাজে চুল পাকা নিয়ে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে যে, বয়স হলে মাথার কালো চুল সাদা হয়ে যাবে অর্থ্যাৎ পেকে যাবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু বর্তমান আধুনিক জমানায় এসব মতবাদ সহজে সবাই মেনে নেয় না। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তির চুল পেকে গেলে তাকে অনেকাংশে স্বাভাবিক মনে করা হয়। কিন্তু ১৫/২০ বছর বয়েসী কারো মাথার চুল আংশিক বা পুরোপুরি ভাবে সাদা হয়ে গেলে তাকে সবাই অস্বাভাবিক ভাবেই দেখে।

মাথার চুল পাকার বেশ কিছু কারণ রয়েছে- মানুষের শরীরের রং নিয়ন্ত্রণকারী পিগমেন্টের নাম মেলামিন। বিভিন্ন কারণে দেহে মেলামিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাবে চুলের রং সাদা হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ চুলে মেলামিন পিগমেন্টের অভাব হলেই চুল পেকে যায়। এছাড়াও বংশগত বা জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণেও অকালে বা অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হতে পারে। জীবনযাপনের ধরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভিটামিনের অভাব, মানসিক অতিরিক্ত চাপ, অধিক পরিমাণে ধূমপান গ্রহণ, পরিবেশ দূষণ, বার্ধক্য, চুলের অযত্ন ইত্যাদি নানা কারণে অকালে চুল পেকে যেতে পারে।

অল্প বয়েসে মাথার চুল পেকে গেলে অনেকেই তার চিকিৎসার জন্য ওঠে পড়ে লাগেন। মাথার চুল পাকা প্রতিরোধ করার জন্য সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।

মাথার চুল পাকা প্রতিরোধ করার উপায়-মাথার চুল পাকা রোধের উপায়

১. মাথার চুল পাকা প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ইষদুষ্ণ নারিকেল বা সরিষা তৈল চুলে ব্যবহার করা।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। খাবার নিয়মমাফিক গ্রহণ করতে হবে। খাবারগ্রহণের পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে- যাতে পানির সাথে দেহের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। দেহে কোনো দূষিত পদার্থ থাকলে তাও চুল পাকার কারণ হয়ে থাকতে পারে।

৩. মাথার চুল পাকা প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। যেমন- বিভিন্ন ধরণের মাছ, শাকসবজি, মাশরুম, কমলার জুস, ডিম ইত্যাদি।

৪. মাথার চুল পাকা প্রতিরোধের জন্য আমলকী উত্তমরুপে পিষে তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে সপ্তাহে চার বার মাথার চুলে ব্যবহার সুফল পাওয়া যায়।

৫. পেঁয়াজ থেতো করে তার রস মাথায় ভালো ভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেললে পাকা চুল প্রতিরোধে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৬. মধু এবং কাঁচা আদা চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল পাকা  প্রতিরোধে ভালো ফল হয়।

৭. মাথার সাদা চুলে সপ্তাহে অন্তত ২ বার ঘি মাখালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৮. চা পাতা ভালো ভাবে ফুটিয়ে তার সাথে বেশি পরিমাণ লবণ মিশিয়ে চুলে আধা ঘন্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের জন্য খুবই উপকার হয়।

৯. গোল মরিচ এবং লেবুর রস মিশ্রণ করে মাথার চুলে সপ্তাহে ২/৩ বার ম্যাসাজ করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

১০. আজকাল বাজারে নিমতেল পাওয়া যায়। মাথার চুলে নিয়মিত নিমতেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

 

আরও পড়ুন- কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!