প্রচ্ছদসাহিত্য

সুশান্ত হালদারের কবিতা

নেতা পূর্ণ দেশ, বাংলাদেশ 

জলে নেমেই বোঝে গেলেন
ডুবে মরার চেয়ে ভেসে থাকাই শ্রেয়
অথচ নেতাপূর্ণ দেশে গা ভাসিয়েই
কাটিয়ে দিলেন পঞ্চাশোর্ধ বছর
এতে সর্বসাধারণ জ্ঞাত আছেন যে
দস্যুবৃত্তির কাতারে সর্বাগ্রে বাংলাদেশ
যাতে উৎসুক দর্শক
বেলেল্লাপনা হাসিতেই বরই চাটার ভান করে
মরা গাছে পানি ঢালে
বেকুব বলেই তাল হারিয়ে বসে থাকে ঈশ্বর ছাদে
এতে
দেশের ক্ষতি দেশী করে ভিনদেশীদের ভাই বলে!

তান্ত্রিক পাশার অভিসার

পৃথিবীর চাকায় ভর করে ফিরে যাচ্ছেন ঈশ্বর বাড়ি
দেবী কন্যা যারা আনন্দে আত্মহারা
শুধু আমার নৈকট্যে কেউ নেই তুমি ছাড়া
দিগন্ত জোড়া মাঠে
যে সূর্য’র আলোয় ধ্যানস্থ হয়েছিল বুদ্ধ
ক্লেদ মাখা মানুষ তারই মূলোৎপাটনে
হিংসার বীজ রোপন করেছে ভুল মন্ত্র উদগারে
পিছনে ঘুটঘুটে অন্ধকার
ডানে বামে সামনে যা কিছু দেখি
সবই শকুনির তান্ত্রিক পাশার ঘোর অভিসার,
শুধু আমরাই
যাদের লক্ষ্যস্থির অগ্নিমন্ত্র দহনে
তারাই পাণ্ডব কৃত্য সমাধানে
আজ উপস্থিত আর্যাবর্ত থেকে ট্যাবু নির্ভর বাংলাতে!

আত্মজৈবনিক কাহিনি 

বিশ্বাস তো দূরের কথা
নিজেকেই ঝুলিয়ে রেখেছি মহা-শূন্যতায়
রোদে পুড়ে
ঝড়ে ভিজে
বিলীন হয়েছি বৃষ্টির ফোঁটায়
তবুও দেখ
কী অদ্ভুত জীবনের সারাংশ
কড়া লিকারের চায়ে এখনও সে টোস্ট ভিজায়
অথচ জানে না সে
অনভিপ্রেত লালসার ফলে
মৃত্যু হয়েছে শিলালিপি খোঁদাই করার আগেই
এখন আমি বলতেই পারি
মুখের আগুনে ধরে রেখেছি তাবৎ দুনিয়ার আত্মজৈবনিক কাহিনি!
error: Content is protected !!