Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অঞ্চল। এই জেলা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
এখানে অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ধান, আম, ও মিষ্টান্ন উৎপাদনের জন্যও নওগাঁ বিশেষভাবে পরিচিত।
কৃষিনির্ভর এই জেলার মানুষ পরিশ্রমী ও অতিথিপরায়ণ, যা নওগাঁকে এক অনন্য সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলেছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: নওগাঁর গৌরবময় অতীত
নওগাঁর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। প্রাচীনকালে এটি পুণ্ড্রবর্ধন অঞ্চলের অংশ ছিল। পাল সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজবংশের অধীনে ছিল এই অঞ্চল। নওগাঁ নামের উৎপত্তির পেছনেও রয়েছে নানা মত। কেউ বলেন, “নও” অর্থাৎ নতুন এবং “গাঁও” অর্থাৎ গ্রাম থেকে নওগাঁ নামের সৃষ্টি। আবার কারো মতে, এটি “নও” (নয়) টি গ্রামের সমষ্টি ছিল।
ঐতিহাসিক স্থাপত্য: যা আপনাকে মুগ্ধ করবে
নওগাঁ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার: এটি শুধু নওগাঁর নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। অষ্টম শতকে পাল বংশের রাজা ধর্মপাল এটি নির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর স্থাপত্য, কারুকার্য দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
- কুসুম্বা মসজিদ: এটি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত। শের শাহের শাসনামলে ১৫৫৮ সালে এটি নির্মিত হয়। মসজিদের দেয়ালের কারুকার্য এবং স্থাপত্যশৈলী দেখলে যে কেউ এর সৌন্দর্যে হারিয়ে যাবে।
- বলিহার রাজবাড়ি: নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বলিহার নামক স্থানে অবস্থিত এই রাজবাড়িটি উনিশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। যদিও এখন এটি ভগ্নপ্রায়, তবুও এর বিশাল কাঠামো দেখলে বোঝা যায় এটি একসময় কতটা জাঁকজমকপূর্ণ ছিল।
কৃষি ও অর্থনীতি: নওগাঁর প্রাণ
নওগাঁর অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষি। এই জেলা ধান উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয়। এছাড়া এখানে আলু, গম, ভুট্টা, সরিষা, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়।
ধানের প্রাচুর্য: কেন নওগাঁ “ধানের ভাণ্ডার”?
নওগাঁ জেলাকে “ধানের ভাণ্ডার” বলা হয় কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদিত হয়। এর কারণ হলো:
- উর্বর মাটি: এই অঞ্চলের মাটি ধান চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
- প্রাকৃতিক সুবিধা: পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং অনুকূল আবহাওয়া ধান উৎপাদনে সহায়ক।
- কৃষকদের দক্ষতা: এখানকার কৃষকরা ধান চাষে অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।
অন্যান্য কৃষি পণ্য: নওগাঁর বৈচিত্র্য
ধান ছাড়াও নওগাঁ জেলায় আরও অনেক ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- আলু: নওগাঁয় প্রচুর পরিমাণে আলুর চাষ হয়। এখানকার আলু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
- আম: নওগাঁর আম বেশ বিখ্যাত। বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ আমের চাহিদা অনেক।
- লিচু: লিচুর জন্যও নওগাঁর খ্যাতি রয়েছে। এখানকার লিচু রসালো এবং সুস্বাদু।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য: নওগাঁর আপন রঙ
নওগাঁ জেলার সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে, তাই সংস্কৃতির বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো।
লোকসংগীত ও নৃত্য: মাটির সুর
নওগাঁর লোকসংগীত ও নৃত্য এখানকার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানকার জনপ্রিয় লোকসংগীতগুলো হলো:
- ভাটিয়ালী: এটি নদীর গান নামেও পরিচিত। মাঝিরা নৌকা চালানোর সময় এই গান গেয়ে থাকে।
- গম্ভীরা: এটি মূলত রাজশাহী অঞ্চলের গান হলেও নওগাঁতেও এর প্রচলন রয়েছে। গম্ভীরা গানের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়।
- পালাগান: এটি গ্রামীণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। পালাগানে সাধারণত কোনো ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক কাহিনী তুলে ধরা হয়।
মেলা ও উৎসব: প্রাণের মেলা
নওগাঁ জেলায় সারা বছর বিভিন্ন ধরনের মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- বৈশাখী মেলা: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নানা ধরনের লোকজ সামগ্রী পাওয়া যায়।
- পৌষ মেলা: পৌষ মাসের শেষ দিনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে পিঠা-পুলি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়।
- চড়ক মেলা: এটি শিবপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় নানা ধরনের লোকক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
দর্শনীয় স্থান: যা আপনার মন জয় করবে
নওগাঁ জেলায় দেখার মতো অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। আপনি যদি ভ্রমণ ভালোবাসেন, তাহলে এই স্থানগুলো আপনার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
ঐতিহাসিক স্থান: কালের সাক্ষী
নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে এক ভিন্ন জগতে।
- আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান: এটি নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। এখানে শালবন এবং বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।
- যুগীর ভিটা: এটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাছে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাচীনকালের বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: প্রকৃতির মাঝে শান্তি
নওগাঁর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করার মতো।
- আত্রাই নদী: এই নদী নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রধান নদী। নদীর তীরে দাঁড়ালে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাবেন।
- ছোট যমুনা নদী: এটিও নওগাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। বর্ষাকালে এই নদী কানায় কানায় ভরে ওঠে।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত খাবার
নওগাঁ জেলার কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যা আপনার জিভে জল আনতে বাধ্য।
চিঁড়া: নওগাঁর ঐতিহ্য
নওগাঁর চিঁড়া খুব বিখ্যাত। এখানকার চিঁড়া সাধারণত মোটা চাল থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি খেতে খুব সুস্বাদু।
আম: আমের রাজধানী
নওগাঁর আম সারাদেশে বিখ্যাত। এখানকার ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ আমের স্বাদ অতুলনীয়।
সন্দেশ: মিষ্টিমুখ
নওগাঁর সন্দেশও খুব জনপ্রিয়। এখানকার মিষ্টি দোকানগুলোতে নানা ধরনের সন্দেশ পাওয়া যায়।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
নওগাঁ জেলায় অনেক বিখ্যাত মানুষের জন্ম হয়েছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
রাজনীতিবিদ: দেশের সেবায়
- আব্দুল জলিল: বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
শিক্ষাবিদ: জ্ঞানের আলো
- ড. এনামুল হক: একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব: শিল্পের সাধনা
- সুকুমার চক্রবর্তী: একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক।
নওগাঁ ভ্রমণ: কিছু দরকারি তথ্য
নওগাঁ ভ্রমণে গেলে কিছু তথ্য আপনার কাজে লাগতে পারে।
যাতায়াত: কিভাবে যাবেন
- বাস: ঢাকা থেকে সরাসরি নওগাঁর বাস পাওয়া যায়।
- ট্রেন: ঢাকা থেকে সান্তাহার জংশন হয়ে নওগাঁ যাওয়া যায়। সান্তাহার থেকে বাস বা অটোতে নওগাঁ শহর যাওয়া যায়।
থাকা: কোথায় থাকবেন
নওগাঁ শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে।
খরচ: কেমন বাজেট লাগবে
নওগাঁ ভ্রমণ খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়। মোটামুটি ৩-৪ হাজার টাকায় আপনি ২-৩ দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন।
নওগাঁ জেলার ইতিহাস
নওগাঁ জেলার ইতিহাস কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে পুণ্ড্রবর্ধন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, যা মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। পাল রাজবংশের শাসনামলে, নওগাঁ বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। এখানে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে যা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
নওগাঁ জেলার নামকরণ
নওগাঁ নামের উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। একটি মত অনুযায়ী, “নও” অর্থাৎ নতুন এবং “গাঁও” অর্থাৎ গ্রাম এই দুটি শব্দ মিলে নওগাঁ নামের সৃষ্টি। অন্য একটি মতানুসারে, এই অঞ্চলটি নয়টি নতুন গ্রামের সমষ্টি ছিল, তাই এর নাম হয় নওগাঁ।
নওগাঁ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান
নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর উত্তরে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা, দক্ষিণে নাটোর ও রাজশাহী জেলা, পূর্বে বগুড়া জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। এই জেলার ভূপ্রকৃতি সমতল এবং উর্বর, যা কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
নওগাঁ জেলার উপজেলা সমূহ
নওগাঁ জেলায় মোট ১১টি উপজেলা রয়েছে। এই উপজেলাগুলো হলো:
- নওগাঁ সদর
- আত্রাই
- বদলগাছী
- ধামইরহাট
- মহাদেবপুর
- মান্দা
- নিয়ামতপুর
- পত্নীতলা
- পোরশা
- রাণীনগর
- সাপাহার
নওগাঁ জেলার অর্থনীতি
নওগাঁ জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। এই জেলার উর্বর মাটি এবং অনুকূল আবহাওয়া বিভিন্ন প্রকার শস্য উৎপাদনের জন্য সহায়ক। ধান এখানকার প্রধান ফসল। এছাড়াও আলু, গম, ভুট্টা, সরিষা, এবং বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি ও ফলমূল এখানে উৎপাদিত হয়। নওগাঁর আম এবং লিচু সারাদেশে प्रसिद्ध।
নওগাঁ জেলার শিল্প ও বাণিজ্য
কৃষির পাশাপাশি নওগাঁ জেলায় ছোট ও মাঝারি আকারের কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে চালকল, আটাকল, তেলকল এবং অন্যান্য কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বিদ্যমান। এছাড়াও তাঁত শিল্প এবং হস্তশিল্পের মাধ্যমেও অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে। নওগাঁর তাঁতের শাড়ি ও অন্যান্য বস্ত্রসামগ্রী স্থানীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয়।
নওগাঁ জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
নওগাঁ জেলায় শিক্ষার হার বেশ উন্নত। এখানে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নওগাঁ সরকারি কলেজ
- নওগাঁ সরকারি মহিলা কলেজ
- নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়
নওগাঁ জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
নওগাঁ জেলার সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই জেলায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। লোকসংগীত, লোকনৃত্য, এবং লোকনাটক এই অঞ্চলের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নওগাঁ জেলার লোকসংগীত ও নৃত্য
নওগাঁর লোকসংগীতের মধ্যে ভাটিয়ালী, গম্ভীরা, এবং পালাগান উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে স্থানীয় নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। এই অঞ্চলের মানুষ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
নওগাঁ জেলার মেলা ও উৎসব
নওগাঁ জেলায় সারা বছর বিভিন্ন মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বৈশাখী মেলা, পৌষ মেলা, এবং চড়ক মেলা এই অঞ্চলের প্রধান উৎসব। এই মেলাগুলোতে স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
নওগাঁ জেলায় অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত। এটি অষ্টম শতকে পাল বংশের রাজা ধর্মপাল কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বিহারটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
কুসুম্বা মসজিদ
কুসুম্বা মসজিদ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত। এটি শের শাহের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও কারুকার্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান
আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত। এই উদ্যানে শালবন এবং বিভিন্ন प्रकार वन्य प्राणी দেখতে পাওয়া যায়। এটি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি आदर्श स्थान।
বলিহার রাজবাড়ী
বলিহার রাজবাড়ী নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যদিও এটি এখন ভগ্নপ্রায়, তবুও এর বিশাল কাঠামো দেখলে বোঝা যায় এটি একসময় কতটা জাঁকজমকপূর্ণ ছিল।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত খাবার
নওগাঁ জেলার কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যা এই অঞ্চলকে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে।
চিঁড়া
নওগাঁর চিঁড়া খুব বিখ্যাত। এখানকার চিঁড়া সাধারণত মোটা চাল থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি খেতে খুব সুস্বাদু।
আম
নওগাঁর আম সারাদেশে বিখ্যাত। এখানকার ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ আমের স্বাদ অতুলনীয়।
সন্দেশ
নওগাঁর সন্দেশও খুব জনপ্রিয়। এখানকার মিষ্টি দোকানগুলোতে নানা ধরনের সন্দেশ পাওয়া যায়।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
নওগাঁ জেলায় অনেক বিখ্যাত মানুষের জন্ম হয়েছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
আব্দুল জলিল
আব্দুল জলিল ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
ড. এনামুল হক
ড. এনামুল হক ছিলেন একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ।
সুকুমার চক্রবর্তী
সুকুমার চক্রবর্তী ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক।
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
- নওগাঁ কিসের জন্য বিখ্যাত?
নওগাঁ মূলত ধান, ঐতিহাসিক বৌদ্ধ বিহার, এবং আমের জন্য বিখ্যাত। - পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কোথায় অবস্থিত?
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত। - নওগাঁর বিখ্যাত খাবার কি কি?
নওগাঁর বিখ্যাত খাবার হলো চিঁড়া, আম এবং সন্দেশ। - কুসুম্বা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
কুসুম্বা মসজিদ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত। - আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত?
আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত।
উপসংহার
নওগাঁ জেলা সত্যিই এক অসাধারণ স্থান। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর প্রকৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন এখানে ঘটেছে। আপনি যদি একটু সময় করে নওগাঁ ঘুরে আসেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে মুগ্ধ হবেন।
এখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো আপনাকে যেমন ইতিহাসের গভীরে নিয়ে যাবে, তেমনি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন জয় করবে। আর এখানকার মানুষগুলোর আন্তরিকতা আপনাকে আপন করে নেবে।
তাহলে আর দেরি কেন? ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন নওগাঁর উদ্দেশ্যে। আর হ্যাঁ, আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না! আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুভ কামনা!
Also Read: বগুড়ার দর্শনীয় স্থান

Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
