Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর — সম্পত্তির ধরন অনুযায়ী বণ্টন
এই টুলটি সাধারণ প্রশস্তিকরণ ও সহায়ক হিসাব দেয় — মুসলিম উত্তরাধিকার অনুযায়ী। আইনি সিদ্ধান্তের বিকল্প নয়।
- টুলটি সাধারণ কেস কভার করে। জটিল বা বিরল পরিস্থিতিতে আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
- পুরুষের অংশ মেয়ের দ্বিগুণ — এবং কিছু ওয়ারিশকে নির্দিষ্ট ভগ্নাংশ দেওয়া হয়।
ফলাফল এখানে দেখুন — প্রথমে ওয়ারিশ নির্বাচন করুন, তারপর সম্পত্তির ধরন ও পরিমাণ দিয়ে “হিসাব করুন” চাপুন।
উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর মুসলিম ফারায়েজ সম্পর্কে

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বা ‘ইলমুল ফারায়েজ’ অনুযায়ী, একজনের মৃতু্যুর পর তার সম্পত্তি কীভাবে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
কুরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে তৈরি এই এই ক্যালকুলেটরটি সেই নীতির ওপর নির্ভর করেই তৈরি করা হয়েছে, যা মুসলিম ফারাইদ আইন অনুযায়ী সম্পত্তির একটি প্রাথমিক ও সাধারণ হিসাব প্রদানে সহায়তা করে।
তবে, উত্তরাধিকার আইন জটিল হওয়ায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য একজন আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মুসলিম উত্তরাধিকারীর শ্রেণীবিভাগ (Classification of Muslim Heirs)

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়:
নির্দিষ্ট অংশীদার (যাবিল ফুরুজ বা Qur’anic Heirs):
এঁরা হলেন সেইসব উত্তরাধিকারী যাদের অংশ পবিত্র কুরআনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। মোট ১২ জন নির্দিষ্ট অংশীদার রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের কন্যা, আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন, বৈপিত্রেয় ভাই এবং বৈপিত্রেয় বোন।
অবশিষ্টভোগী (আসাবা বা Residuaries):
নির্দিষ্ট অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর সম্পত্তির যে অংশ অবশিষ্ট থাকে, তার মালিক হন আসাবারা। পুত্র, পিতা, ভাই, এবং চাচা অবশিষ্টভোগীদের অন্তর্ভুক্ত।
দূরবর্তী আত্মীয় (যাবিল আরহাম বা Distant Kindred):
উপরে উল্লিখিত যাবিল ফুরুজ ও আসাবা শ্রেণীর কেউ জীবিত না থাকলে দূরবর্তী আত্মীয়রা সম্পত্তি পেয়ে থাকেন। যেমন – কন্যার সন্তান বা বোনের সন্তানরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
প্রধান উত্তরাধিকারীদের অংশ (Shares of Principal Heirs)
ফারায়েজ আইনে প্রধান উত্তরাধিকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট অংশ নির্ধারিত রয়েছে:
স্বামী:
মৃত স্ত্রীর সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী ১/৪ অংশ পাবেন; আর না থাকলে স্বামী পাবেন ১/২ অংশ।
স্ত্রী:
মৃত স্বামীর সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবেন; আর না থাকলে স্ত্রী ১/৪ অংশ পাবেন।
পুত্র ও কন্যা:
পুত্ররা সাধারণত অবশিষ্টভোগী (আসাবা) হয়। যদি মৃত ব্যক্তির পুত্র ও কন্যা উভয়েই জীবিত থাকেন, তবে তাঁরা ২:১ অনুপাতে সম্পত্তি ভাগ করে নেবেন (পুত্রের দ্বিগুণ অংশ)। যদি পুত্র না থাকে, তবে একজন কন্যা সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবেন এবং একাধিক কন্যা মোট ২/৩ অংশ পাবেন।
পিতা:
মৃত ব্যক্তির পুত্র বা পুত্রের পুত্র থাকলে পিতা ১/৬ অংশ পাবেন। যদি শুধু কন্যা থাকে, তবে পিতা প্রথমে ১/৬ অংশ পাওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তির অংশীদারও হবেন। আর কোনো সন্তান না থাকলে পিতা অবশিষ্টভোগী হিসেবে সব সম্পত্তি পেতে পারেন।
মাতা:
মৃত ব্যক্তির সন্তান বা একাধিক ভাই-বোন থাকলে মাতা ১/৬ অংশ পাবেন; অন্যথায় মাতা ১/৩ অংশ পাবেন।
সম্পত্তি বণ্টনে জটিল নিয়মকানুন
উত্তরাধিকার আইন একটি জটিল বিষয়, যেখানে কিছু সূক্ষ্ম নিয়ম প্রয়োগ হয়:
বঞ্চনার নীতি (হাজব – Exclusion):
এই নীতি অনুযায়ী, নিকটবর্তী সম্পর্কের উত্তরাধিকারী জীবিত থাকলে দূরবর্তী সম্পর্কের উত্তরাধিকারী সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। উদাহরণস্বরূপ, যদি পুত্র জীবিত থাকে, তবে ভাইয়েরা সম্পত্তি পাবেন না।
আউল নীতি (Aul):
যদি সকল নির্দিষ্ট অংশীদারের (যাবিল ফুরুজ) মোট প্রাপ্য অংশ যোগ করলে তা সম্পূর্ণ সম্পত্তির পরিমাণ (১)-এর বেশি হয়ে যায়, তবে আনুপাতিক হারে সবার অংশ কমিয়ে আনা হয়।
রাদ নীতি (Rad):
নির্দিষ্ট অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর যদি কোনো অবশিষ্টভোগী (আসাবা) জীবিত না থাকে এবং কিছু সম্পত্তি বাকি থাকে, তবে সেই অবশিষ্ট সম্পত্তি বন্টন করার জন্য রাদ নীতি প্রয়োগ করা হয়।
এই ক্ষেত্রে, স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য নির্দিষ্ট অংশীদারদের মধ্যে তাদের প্রাপ্য অংশের অনুপাতে সেই বাকি সম্পত্তি বণ্টন করা হয়।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য (FAQs)
ফারায়েজ কি?
ফারায়েজ হলো ইসলামিক উত্তরাধিকার আইন, যা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে কীভাবে সুনির্দিষ্টভাবে বণ্টন করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এটি কুরআন, হাদিস এবং ইজমা-কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আমার সম্পত্তি বণ্টনের জন্য এই ক্যালকুলেটর কি যথেষ্ট?
এই ক্যালকুলেটরটি মুসলিম ফারাইদ আইন অনুযায়ী সম্পত্তির একটি প্রাথমিক ও সাধারণ হিসাব প্রদান করে। তবে, উত্তরাধিকার আইন একটি জটিল বিষয় এবং বিশেষ নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। তাই চূড়ান্ত ও নির্ভুল হিসাব এবং আইনি পরামর্শের জন্য একজন অভিজ্ঞ আইন বিশেষজ্ঞ বা আলেমের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরি।
যাবিল ফুরুজ, আসাবা এবং যাবিল আরহাম কারা?
যাবিল ফুরুজ (নির্দিষ্ট অংশীদার) হলেন তাঁরা যাদের অংশ কুরআনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে (যেমন – পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী, কন্যা)।
আসাবা (অবশিষ্টভোগী) হলেন তাঁরা যারা যাবিল ফুরুজদের অংশ দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তির মালিক হন (যেমন – পুত্র, ভাই, চাচা)।
যাবিল আরহাম (দূরবর্তী আত্মীয়) হলেন তাঁরা যারা প্রথম দুই শ্রেণীর কেউ জীবিত না থাকলে সম্পত্তি পান (যেমন – কন্যার সন্তান, বোনের সন্তান)।
আউল এবং রাদ নীতি বলতে কী বোঝায়?
আউল নীতি বলতে বোঝায় যখন সকল নির্দিষ্ট অংশীদারের মোট প্রাপ্য অংশ ১-এর বেশি হয়ে যায়, তখন আনুপাতিক হারে সবার অংশ কমিয়ে আনা হয়।
রাদ নীতি বলতে বোঝায় যখন কোনো অবশিষ্টভোগী না থাকে এবং বাকি সম্পত্তি স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য নির্দিষ্ট অংশীদারদের মধ্যে তাদের অংশের অনুপাতে বণ্টন করা হয়।

Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
- Latest Posts by Mostafizur Rahman
-
মির্জা গালিব এর উক্তি: জীবন, বাস্তবতা, ভালোবাসা দুঃখ নিয়ে
- -
সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক প্রশ্ন সমাধান PDF Download
- -
৪৮ তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | Free PDF Download
- All Posts
