চার্লস বুকোস্কির দুটি কবিতা- অনুবাদ- টিটো মোস্তাফিজ
উৎপীড়ন খুব বেশি, খুব কম খুব মোটা, খুব পাতলা অথবা কেউনা। হাসি অথবা কান্না ঘৃণা, প্রেম বিদেশীগণ যাদের মুখ আঙ্গুলের
Read Moreউৎপীড়ন খুব বেশি, খুব কম খুব মোটা, খুব পাতলা অথবা কেউনা। হাসি অথবা কান্না ঘৃণা, প্রেম বিদেশীগণ যাদের মুখ আঙ্গুলের
Read Moreকান্না বারণ কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না চকিতে চোখ মুছে নেয় সে গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে মাথা
Read Moreএকবার ‘তুমি’ বলে ডাকো ‘তুমি’ শব্দটি মুছে ফেলেছিলাম, রাতের অদৃশ্য মুখ কিছুদিন কাঙ্খিত ছিলো কানেকানে সাবধানে টানতে গিয়ে কাপড় সরাতে
Read Moreনেতা পূর্ণ দেশ, বাংলাদেশ জলে নেমেই বোঝে গেলেন ডুবে মরার চেয়ে ভেসে থাকাই শ্রেয় অথচ নেতাপূর্ণ দেশে গা ভাসিয়েই কাটিয়ে
Read Moreআসছি ঈদে মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছি বাড়ি রহিম বন্ধুর বাড়ি খুব করে বলেছে যাবে নচেৎ করব আড়ি! প্রাণের বন্ধু রহিম ভাইজান
Read Moreদিনের এই সময়টা, বেশ একটা মধ্যবর্তী ভাব রেখে, চলে যায়, মনের কোণে, এক আখর বিন্যাসী মেঘ জমতে চাওয়া, নিঃসঙ্গ সন্ধ্যের
Read Moreসব বয়সী মানুষের নতুন পোশাকের প্রতি আকর্ষণ থাকে। ছোটদের থাকে হয়তো একটু বেশি। তুলির খুব শখ নতুন জামার। অনেকদিন ধরে
Read Moreজলের কথা জল দেখেছো- বৃষ্টি হলে? জল দেখেছো- খালে বিলে? জল দেখেছো- শহর নালায়? পঁচা জলে কেমন জ্বালায়? জল দেখেছে-
Read Moreশুনতে পেতাম তোমার ডাক চিঠি আছে, চিঠি! চিঠি আছে, চিঠি! ডাকের অপেক্ষায় থেকে যাই আজও শুনতে পেতাম দরজায় কড়া নাড়া–
Read More“তুর গতর টোয় আর আগের মত মজ নাই রে, দিখলে খিদা লাগেক লাই বটে|” ডগরের দড়ি পাকানো, বিবস্ত্র দেহ টাকে, বিছানায় একপাশে ফেলে, গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পরে “দেবু সারেন”| তাঁর বলিষ্ঠ সুঠাম দেহে, কাষ্ঠল পেশীগুলো ক্রমশঃ ফুটে উঠতে থাকে, যেন মদন মোহন মন্দিরের গায়ে, বিষ্ণুপুরী টেরাকোটা ভাস্কর্য| ডগর তখনও পরে থাকে একে বেঁকে, যেন আস্ত একটা কালাচ সাপ, ঘন শীতের, অপাংক্তেয় সূর্য্যের আলো থেকে সরে গিয়ে, কুন্ডলী পাকিয়ে চলে গেছে, মোক্ষম এক শীত ঘুমে| দেবু সম্পর্কে ডগরের ভাসুর হয়| ওর মরদটা পাগল হয়ে ঘর ছেড়েছে বছর দশেক হলো| শেষবার পাড়ার লোকে জঙ্গলে যেতে দেখেছিল| সময়টা দিন আর সন্ধ্যের মাঝামাঝি| সমস্ত জঙ্গল জুড়ে তখন রং লেগেছে| মেরুদন্ড বেয়ে, শব্দ তোলা চরম শ্বাসে, বড় বড় পলাশ গাছগুলোতে, আকাশ কুসুম দোল দিচ্ছে| ঠিক যেরকম একদিন, দোলায় চেপে, মরদের হাত ধরে, দুলতে দুলতে, ডগর শ্বশুর বাড়ি এসেছিল, দলমা র শরীরের, যাযাবরী মজ্জার পার্বত্যপথ পেরিয়ে| সেও ছিল, কোন এক জন্মান্তরের সময়, শীতের শেষ, বসন্তের শুরু| মরদ টা ছেড়ে যাবার পর থেকেই, ডগর দেবুর সাথে শোয়, দেবুই ওকে ডেকেছিল একদিন| লোভী পায়ে এগিয়ে গিয়ে, প্রায় লোহা হয়ে যাওয়া শরীরের, বিবর বেয়ে চুঁয়ে পরা, মসৃণ স্বেদ চেটে নিয়েছিল ডগর, তার শ্রীহীন জিভ টা দিয়ে| যৌবনের অমেধ্য কাঁটা তারে, কৃষ্ণবেনী এক সাঁওতাল তরুণীর, অনতিক্রম্য মেয়েলী লাবণ্য, পিষে গিয়েছিল, দেবুর ভীমসম, উষ্ণ মর্দনে| অথচ প্রথমে, দেবু ডগরকে, নিজের ছোট ভাইয়ের বৌয়ের চোখেই দেখত| এ যেন এক নির্বাণী অজাচার| জঙ্গলে পূর্ণিমা হলে, যেমন রাতের শেষ টুকু, ডুব দেয় গর্ভবতী কাঁসাইয়ের কোলে, সেইরকম বাসি
Read More