প্রচ্ছদবিবিধ

স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

১. যা পারো নিজে করে যাও, কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।

২. আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে, কিন্তু তারা অনেক বেশি পবিত্র।

৩. কাজ করো নির্ভীকভাবে। এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।

৪. সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।

৫. তুমি ইন্দ্রিয়ের দাস কিন্তু এই ইন্দ্রিয়ের ভোগ স্থায়ী নয়, বিনাশী এর পরিনাম | এই তিনদিনের ক্ষনস্থায়ী বিলাসের ফল সর্বনাশ |

৬. অতএব ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সৃষ্ট সুখকে ত্যাগ করো, এটাই ধর্মলাভের উপায় | ত্যাগই আমাদের চরম লক্ষ্য ও মুক্তির পথ কিন্তু ভোগ আমাদের লক্ষ্য নয়।

৭. পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে, কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।

৮. সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।

৯. আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।

১০. যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না, তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি, অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।

১১. মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয়।

১২. আমাদের জাতের কোনো ভরসা নেয়, কোনো একটা স্বাধীন চিন্তা – কাহারও মাথায় আসে না , সেই ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে টানাটানি।

১৩. ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।

১৪. ইচ্ছা শক্তিই জগৎ কে পরিচালনা করে থাকে।

১৫. কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।

১৬. সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।

১৭. একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান।

১৮. মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি প্রথম থেকেই আমাদের। তারা হল আমরাই যারা নিজের চোখের উপর প্রথমে হাত রাখি এবং তারপর কান্নাকাটি করি, কত অন্ধকার আছে বলে।

১৯. যেমন ভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন স্রোতগুলি তাদের জল সমুদ্রে মিলিত করে, তেমন প্রকারই মানুষ দ্বারা নির্বাচিত প্রত্যেক পথ সেটা ভালোই হোক বা খারাপ, ভগবানের কাছে নিয়ে যায়।

২০. এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।

২১. নিজের উপর বিশ্বাস না এলে … ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।

২২. ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি … অনেক বেশি শক্তিমান।

২৩. জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র; জগত এখন তাদের চায় – যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।

২৪. সেবা করো তাৎপরতার সাথে। দান করো নির্লিপ্ত ভাবে। ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে। ব্যয় করো বিবেচনার সাথে। তর্ক করো যুক্তির সাথে। কথা বলো সংক্ষেপে।

২৫. পবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।

২৬. শুধু বড়ো লোক হয়ো না … বড় মানুষ হও।

২৭. যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না। যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।

২৮. আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি। তার ফল – আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।

২৯. মেয়েদের উন্নতি করতে পারো? তবে আশা আছে। নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।

৩০. গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে? যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।

৩১. এ দেশের যত আইন কানুন, যত ভালোবাসা, যত স্মৃতি, সমস্ত মেয়েদের দাবিয়ে রাখার জন্য হয়েছে।

৩২. ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত, সীতা তার আদর্শ।

৩৩. জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে, কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।

৩৪. জগতের কল্যাণ স্ত্রী জাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই। এক পক্ষে পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয়।

৩৫. পুরুষরা মেয়েদের ভাগ্য গঠনের ভার গ্রহণ করাতেই নারী জাতির যত কিছু অনিষ্ট হয়েছে।

৩৬. উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে – বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও … কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।

৩৭. বাবা, সতী সতী বলে ঢের চেঁচিয়েছ, বাঁশ দিয়ে হাজার হাজার বিধবা পূড়িয়েছ। একটু ক্ষান্ত হও দেখি, এখন জনাকতক ‘সতা’ হও দেখি – আমি বুঝি।

৩৮. নারীদের পাশ্চত্য জ্ঞান ও বিজ্ঞান যেমন শেখাতে হবে, তেমনি জাগাতে হবে ভারতীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।

৩৯. ভারতের জননীই আদর্শ নারী। মাতৃভাবই আদর্শ ও শেষ কথা।

৪০. যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে; আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।

স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

৪১. যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়, কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।

৪২. কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা। তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে , তুমি সব কিছুই করতে পারো।

৪৩. একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।

৪৪. মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত , যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।

৪৫. যে মানুষ বলে – তার আর শেখার কিছু নেই সে আসলে মরতে বসেছে। যত দিন বেঁচে আছো – শিখতে থাকো।

৪৬. জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ। সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো – দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।

৪৭. সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।

৪৮. এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।

৪৯. আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব – স্প্রিহা বিসর্জন দিয়া কর্মে ব্রতী হই। আমরা যেন কাম, ক্রোধ, ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হই। তাহা হইলেই আমরা সত্য বস্তু লাভ করিব

৫০. শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।

৫১. মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।

৫২. জীবন ও মৃত্যু হচ্ছে একটা ব্যাপারেই বিভিন্ন নাম। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এই অবস্থাটাকে পরিষ্কার করে বোঝাবার জো নেই। এক সময় বাঁচবার চেষ্টা হচ্ছে আবার পর মুহূর্তেই বিনাশ বা মৃত্যুর চেষ্টা।

৫৩. আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব – স্প্রিহা বিসর্জন দিয়া কর্মে ব্রতী হয়। আমরা যেন কাম, ক্রোধ ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হয়। তাহা হইলেই আমরা সত্য বস্তু লাভ করব।

৫৪. যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক।

৫৫. মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো, দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো, এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।

৫৬. যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই।

৫৭. একথা সত্য যে, এমন সব স্ত্রী লোক আছেন, যাদের দেখা মাত্র মানুষ অনুভব করে – কে যেন তাকে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু আবার এমন স্ত্রী লোকও আছে, যারা তাকে নরকের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

৫৮. ধর্ম হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা দেবত্বের প্রকাশ।

৫৯. আমরা যা এবং ভবিষ্যতে আমরা যা হবো, তার জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের নিজেদের মধ্যে শক্তি আছে, আমাদের নিজেদের তৈরী করার জন্য। আমরা এখন যা হয়েছি তা আমাদের অতীতের কর্মের ফল, আমরা ভবিষতে যা হবো তা আমাদের বর্তমানের কাজেরই ফল হবে। সুতরাং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের কাজগুলো করব।

৬০. শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা – দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না, বাইরের কাউকে দোষ দেবে না, কিন্তু উঠে দাড়াও – নিজেকে দোষ দাও, তুমি বুঝতে পারবে – নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা।

৬১. পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও – অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য – এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।

৬২. নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন, যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের সঠিক পথ দেখাতে পারবে।

৬৩. কখনো না বলোনা, কখনো বলোনা আমি করতে পারবোনা | তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতরে আছে, তুমি সব কিছুই করতে পারো।

৬৪. যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন।

৬৫. দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন | আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন, দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে।

৬৬. কখনও বড় পরিকল্পনার হিসাব করবেন না, ধীরে ধীরে আগে শুরু করুন, আপনার ভূমি নির্মাণ করুন তারপর ধীরে ধীরে এটিকে প্রসার করুন।

৬৭. ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য – এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি।

৬৮. মানুষের সেবাই হলো ভগবানের সেবা।

৬৯. মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয় আপনার মনের ভীতর অবস্থিত।

৭০. ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না, যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ।

৭১. যতক্ষণ না আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবেন, ততক্ষন আপনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবেন না।

৭২. মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত, যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।

৭৩. যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন | যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন, তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।

৭৪. শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তার জীবন, সংকোচন মৃত্যু, প্রেম জীবন, ঘৃণা মৃত্যু।

৭৫. প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দৃঢ় করে সেটাকে আপন করে নেওয়া উচিত এবং প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দুর্বল করে দেয়, তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত।

৭৬. সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন, এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল | দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন।

৭৭. অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না, তুমি যা করতে পারো সেটা করো কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না।

৭৮. সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়।

৭৯. তারা একাই থাকেন, যারা অন্যদের জন্য জীবিত থাকেন।

৮০. একটি সময়ে একটিই কাজ করো এবং সেটা করার সময় নিজের সবকিছুই তার মধ্যে ব্যয় করে দেও।

স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

৮১. নিজেকে দুর্বল মনে করা সবথেকে বড় পাপ।

৮২. সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে, তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে।

৮৩. কারোর নিন্দা করবেন না: যদি আপনি সাহায্যের জন্য আপনার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলে নিশ্চই তা বাড়ান | আর যদি না বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনার হাত জোর করুন আর আপনার ভাইদের আশীর্বাদ করুন এবং তাদেরকে তাদের পথে যেতে দিন।

৮৪. বিশ্ব একটি ব্যায়ামাগার যেখানে আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি।

৮৫. যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো, আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন।

৮৬. বাহ্যিক স্বভাব কেবল অভ্যন্তরীণ স্বভাবের একটি বড় রূপ হয়।

৮৭. যখন কোনো বিচার অন্যভাবে মনকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে, তখন সেটা বাস্তবিক, শারীরিক বা মানসিক অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে যায়।

৮৮. গীতা পড়ার পরিবর্তে আপনি ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের আরো কাছাকাছি চলে যেতে পারবেন।

৮৯. যদি কোনদিন, আপনার সামান্য কোনো সমস্যা না আসে, আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি ভুল পথে হাটছেন।

৯০. সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা, নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন।

৯১. আর কিছুরই দরকার নেই | দরকার শুধু প্রেম, ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতা | জীবনের অর্থ বিস্তার আর বিস্তার ও প্রেম একই কথা | সুতরাং প্রেমই জীবন, এটাই জীবনের একমাত্র গতি।

৯২. কী সামাজিক, কী রাজনৈতিক, কী আধ্যাত্মিক সব ক্ষেত্রেই যথার্ত কল্যাণের ভিক্তি একটিই আছে | সেটি এইটুকু জানা যে, আমি আর আমার ভাই এক | এই কথাটি সব দেশ ও সব জাতির পক্ষে সমান ভাবে সত্য।

৯৩. চোখ আমাদের পিছনের দিকে নয় সামনের দিকে, অতএব সামনের দিকে অগ্রসর হও | আর যেই ধর্মকে নিজের ধর্ম বলে গৌরববোধ করো, তার উপদেশ গুলিকে কাজে পরিণত করো | ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করুন।

৯৪. প্রত্যেক নারী-পুরুষকে ইশ্বরের দৃষ্টিতে দেখতে থাকো | তোমরা কাউকেই সাহায্য করতে পারোনা, কেবল সেবা করতে পারো | নিজেদের খুব বড় কিছু ভেবনা; তোমরা ধন্য যে সেবা করার অধিকার পেয়েছ, অন্যরা পায়নি।

৯৫. দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে আমি যেন ঈশ্বরকে দেখি | নিজের মুক্তির জন্য তাদের কাছে গিয়ে তাদেরই পূজা করবো, ঈশ্বর তাদের মধ্যে রয়েছেন।

৯৬. তোমাদের সবার ভিতর মহাশক্তি আছে, নাস্তিকের ভিতর তা নেই | যারা আস্তিক তারা বীর, তাদের মহাশক্তির বিকাশ হবেই।

৯৭. শুধু সংখ্যাধিক্য দ্বারাই কোনো মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়না | অর্থ, ক্ষমতা, পান্ডিত্য কিংবা বক্তৃতা এইগুলির কোনটিরই বিশেষ কোনো মূল্য নেই।

৯৮. মানুষকে সর্বদা তার দুর্বলতার বিষয় ভাবতে বলা, তার দুর্বলতার প্রতীকার নয় | তার শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়াই প্রতিকারের উপায়। তার মধ্যে যে শক্তি আগে থেকেই বর্তমান, তার বিষয় স্মরণ করিয়ে দাও।

৯৯. মানুষ মূর্খের মত মনে করে, স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করতে পারে। বহুকাল চেষ্টার পর অবশেষে বুঝতে পারে প্রকৃত সুখ স্বার্থতার নাশে এবং সে নিজে ছাড়া অন্য কেউই তাকে সুখী করতে পারবে না।

১০০. পবিত্র, খাঁটি ও প্রত্যক্ষ অনুভূতি সম্পন্ন মহাপ্রাণ ব্যক্তিরাই, জগতে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে থাকেন।

 

আরও পড়ুন- ইবনে আরাবীর বাণী

error: Content is protected !!