Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
দিনের এই সময়টা, বেশ একটা মধ্যবর্তী ভাব রেখে, চলে যায়, মনের কোণে, এক আখর বিন্যাসী মেঘ জমতে চাওয়া, নিঃসঙ্গ সন্ধ্যের পূর্বরাগে| জানলা দিয়ে বাইরেটা দেখতে দেখতে, কেমন যেন চোখ ধাঁধিয়ে যায় ছেলেটার| প্রবল গ্রীষ্মের বহ্নিশিখা, বাইরেটা পুড়িয়ে ঝাপসা করে দিয়েছে একেবারে| চেতলার এই পুরোনো বাড়িটার, মেঝে ছুঁতে চাওয়া, জানলার গরাদের ফাঁক দিয়ে, উঁকি মারছে, পিছনের বাগানের মেহগনী গাছটা| গাছে সবে নতুন পাতা আসতে শুরু করেছে| ছেলেটি দেখেছে, প্রতি শীতের কোন এক নির্লিপ্ত কালবেলায়, গাছটার সব পাতা ঝরে যায়| খুব ভোরের চোখ কচলানো দৃষ্টিতে, সে দেখেছে গাছটার ছায়া, ছোট হয় এ সময়| আবার ঠিক পোয়াতি বসন্তে, দখিনা বাতাসে দোল দিয়ে, নতুন প্রাণ আসে গাছটায়| তার পেলভিস নিঃসৃত কামরস বেয়ে, শুরু হয় সারিবদ্ধ পিঁপড়ের আনাগোনা| ছোট্ট চড়াইদুটো, বাসা থেকে বেরোয়| ক্রমশঃ বাড়তে থাকা, মোবাইল টাওয়ারের, বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়াকে দুয়ো দেখিয়ে, গাছটা থেকে আকাশে ঝাঁপ মারে, শতাব্দী শোক ভেঙে উড়ে যায়, নরম জীবনের সন্ধানে| ঠিক যেমন, আজ থেকে বছর তিনেক আগে, ছেলেটা জামবনি থেকে কলকাতায় এসেছিলো, কোন এক বৈরাগী বিকেলের শুরুতে, কোন ভালো নাটকের দলের অংশ হতে| সেই শুরুর দিন থেকে, প্রতিটি সন্ধ্যে সে কাটিয়েছে, কল্লোলিনীর শরীরে উত্তাপ ছড়ানো, চায়ের স্টোভের গলনাঙ্কে ফুটতে চেয়ে| সারাদিন রিহার্সালে, নাটকের দলের ব্যস্ত তারকার, প্রক্সি দেবার পর সে ফিরত, এই তেতলার অন্ধকার ছাতের ঘরটায়| দেশ কালের সীমানা ছিড়তে চাওয়া, ঘুলঘুলির ফাঁকে তখন, সহস্রাধিক এঁটো বাসন, আর মেগা সিরিয়ালের শব্দব্যঞ্জনা| ঠিক যখন, জামবনির পাহাড়ঘেরা ধু ধু তিলের ক্ষেতের হাওয়া, এসে লাগে, ঘর লাগোয়া পুরোনো ছাত টায়| অন্ধকারের ক্লান্তি পেরিয়ে, ধীর পায়ে, ছাতের পাঁচিল ঘেঁষে দাঁড়ায় ছেলেটি| বাড়ির পিছনের দৈত্যাকার গাছটাও তখন এক্কেবারে একা|
আজ বিকেলে তার রিহার্সাল ছিল না| বেলাশেষের এই অখন্ড অবসরে, দপ্তরী মোমের মিছিল, আর ধ্রুপদ সাহিত্য স্মৃতি বুকে করে, ছেলেটা আবার ছাতে এসে দাঁড়াল| গাছটাও যেন, চোখের পাতা না পড়া দৃষ্টিতে, তাকিয়ে আছে ওর দিকে| ঠিক যেমন জামবনিতে, ওদের বাড়ির পিছনে, বিশাল বটগাছটা চেয়ে থাকত, ফুটিফাঁটা এপ্রিলের দুপুরে| দেখতে দেখতে, গাছটার চোখগুলো অল্প আঁচে জ্বলে ওঠে| ঝুড়িগুলো তার গা বেয়ে নেমে এসেছে, যেন সময়ের কোন অদৃশ্য কোণ থেকে, কালসর্প দোষ ধেয়ে আসছে, হিসেবী রাত্রিবানী বুকে করে| জঙ্গলের ভিতর, করাত কল থেকে ভেসে আসছে, সংস্কারী চৈত্রমাসের, গোত্রহীন যান্ত্রিকতার উপনিষদ| ছেলেটার বাবা, ওই করাত কলটায়, দিনে ১০ ঘন্টা খাটতো| হয়ত এক ফাঁকে, পাশের ভাতের হোটেলে ঢুকত, টিফিন করতে| মোটা চালের পান্তা ভাত,শাকভাজা, সাথে নুন-লেবু-লঙ্কা| গ্রীষ্ম শুরুর দুপুরবেলায়, সমস্ত জঙ্গল জুড়ে যেন, আগুন লেগে যায়| কচি কলাপাতা রঙের নতুন বৌ, যেন গায়ে হলুদের শাড়িখানা, জড়িয়ে নিয়েছে আপাদমস্তক| অস্বাভাবিক আগুন রঙা, ঢ্যাঙা গাছগুলোর, গোড়ার দিক চওড়া হয় ক্রমশঃ| লাল মাটির বুকে, স্থায়ী সমাধানের মত, উঁইয়ের ঢিবি, এবরো-খেবড়ো, আকারহীন, যেন বসন্ত আর বিষফোঁড়া মেশানো, কোনো দেহাতী লোকের মুখ, এক্ষুনি সাপের মত জিভ বার করবে, এঁকে বেঁকে| ছেলেটি শুনতে পায়, দূর গাঁয়ের মেয়ে-বৌদের, গোল হয়ে গাওয়া পরবের গান| জঙ্গলের মাঝে একটা প্রাইমারী স্কুল, স্কুলের গা বেয়ে, পাহাড়ের উপর এঁকে বেঁকে উঠে গেছে, পাকা রাস্তা| যেন পৃথিবীর গা বেয়ে, গড়িয়ে যাওয়া, জ্যোতিষ্কের ত্রিদিবী আবেগ| ছেলেটার এখনো মুখে লেগে আছে, এরকম চালচুলোহীন দুপুরে, ভাত দিয়ে মেখে খাওয়া, ওর মায়ের হাতের পোস্তবাটা| আজ এই মুহূর্তে, বিপন্ন বক্ররেখায়, ভিড় করে এসে দাঁড়ায়, ওর শৈশব-কৈশোর-যৌবন| দূরের ওই শহুরে গাছটা যেন, ওকে দেখে, বিশেষ কোনো এক ভঙ্গিমা করতে চায়| এই ভঙ্গিটা ওর চেনা| ওদের গাঁয়ে মুখ বেঁধে আসত, এক দল লোক, পিঠে রাইফেল| কোন এক বিবাদী রাতের ভোরে, তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওকে| নিজেদের সাথী করেছিল, ওর নতুন নাম দিয়েছিল “কমরেড লাখাই”| লোকগুলো রোজ রাত নামলে, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে আসত| কোথাও বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাত, কোথাও আবার জনতার দরবারে, চাল ডাল বিলি করত| ওদের কাছে শ্রেণীশত্রু প্রতিপন্ন হলে, তার বিচার ওরা এই জনতার দরবারেই করত| এমনকি আসামীর পরিবারের সামনে, বুলেট পুড়ে দিত, বস্তুবাদী বিপ্লবের শত্রু “বুর্জোয়া” টির বিবস্ত্র, ময়াল শরীরটায়| জোড়হাত মুষ্টিবদ্ধ করে, উপর দিকে ছুড়ে স্লোগান দিত, “লাল সেলাম”| ছেলেটার, লোকগুলোকে খুব খারাপ লাগত না| কারণ, ওরা এই সমাধিস্থ সমাজের, সরীসৃপ নৈতিকতাকে, লন্ডভন্ড করে দেবার কথা বলত| সমূলদ পরিবর্তন, দিনবদলের ডাক, এই মহাজাগতিক দর্শনগুলো, ক্রমশঃ ছেলেটির চোখের সামনে, নধর চাঁদের মত, অর্ধনারীশ্বর রূপ ধরত| লোকগুলো একটা দল করত, বন্দুক আর বুলেট, যার ক্ষমতার সোপান| ওদের দলের লিডার, ক্রমশঃ হয়ে উঠছিল, এলাকার স্বঘোষিত “রাজা”| এমনই কোন এক, ঘুণ ধরা বিকেলে, লিডার মুন্ডু নিয়েছিল, স্থানীয় জোতদার, জমির দালাল,”মাগলা সারেন” এর| এই মাগলা ই, কোনদিন ছেলেটির বাপকে, নিজের পায়ের জুতো খুলে মেরেছিল, নিতান্ত সামান্য অপরাধে| ছেলেটির এই খুনের বিচার, ভালো লেগেছিল সেদিন| মনে হয়েছিল, পুরু চামড়ার তার এই, স্বজাতিগুলোর কাছে, রাষ্ট্রের অনেক ঋণ| এবার বুঝি, তার শোধ নেবার পালা| প্রতিটি মুণ্ডচ্ছেদে, ছেলেটির কানে বেজে উঠত, অপৌরষেয় শঙ্খধ্বনি| যেমনটা টুসুর ভোরে, সে শুনতে পেত, কোপান নদের ধারে| দেশের ভেতর আরেকটা দেশ, একটা সমান্তরাল পৃথিবী| যেখানে মেঘের আলজিভে, ক্ষুধা, লাল হয়ে ঝরে পরে, এই শুকনো জামবনি, আর তার আশেপাশের ইতর অববাহিকায়|
লোকগুলো মাঝে মাঝে, গ্রামে এসে নাটক করত| এই ছেলেটার বয়সী, অনেকগুলো ছেলেমেয়েকে, একসাথে করে| শহুরে নাগরিকতার কাছে, চিরন্তনী অপাংক্তেয়, গরিব মানুষগুলোর মনে, শ্রেনীবিহীন সমাজ চেতনা গড়ে তোলার জন্য| কখনও ছেলেটিও সেই নাটকে, গাছ হয়েছে| উদ্বাহু হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে, কত শত বৈবস্বত কাল ধরে| দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে, তার চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে, হাতের আঙ্গুলগুলো এঁকে বেঁকে গেছে, বৈশাখী বিকেলে, দমকা হাওয়ার, নম্র শরীরী কাব্যের ছন্দ বেয়ে| আজ আবার ছেলেটি, দুটো শীর্ণ হাত তোলে, আকাশের দিকে, সেই বৈদিক জ্যোৎস্নার শূন্যতাকে, দুহাতে ছিড়তে চাওয়া, ভীষণ পূর্ণিমার ধারায়, শরীর ভেজানো, নিঃসঙ্গ ছাতের গা বেয়ে| গাছটার মগডালে, দুটো শালিক বসে ঝগড়া করছিল, নিজেদের ভেতর| কখনও বনিবনা হয় না ওদের| উড়ে যায় এঁকে অন্যকে ছেড়ে| মাধুরী সন্ধ্যের হাওয়ায়, শহরের আলোগুলোর ওপর, মলত্যাগ করতে করতে, উড়তে থাকে শালিকটি| ওরই নাম হয়তো, কোনোদিন কেউ দিয়েছিল “বিপ্লব”|
জামবনি এবং তৎসংলগ্ন এলাকা, এখন ঠান্ডা পিস্তলের মত, শান্ত নির্জনতায় ডুব দিয়েছে, হয়তো আগুপিছু, আবার বছর তিরিশের জন্য| দরিদ্র দুপুরের, নাগরিকত্ত্বকে প্রশ্ন ছুড়ে, ধর্মীয় স্লোগান আর মালকোষী তাটে, বাজানো একাদশী চাঁদ হয়তো, আজ বিপ্লবেরই নামান্তর|
আরো পড়ুন- শাশ্বত বোসের গল্প- আঁচল

Mostafizur Rahman is a professional content writer at CrawlText, specializing in SEO articles, blog posts, and web copy that drive engagement and conversions. With experience crafting clear, audience-focused content for almost all the niches, he delivers well-researched, optimized pieces on deadline. He combines editorial rigor with keyword strategy to boost traffic, authority, and reader retention across blogs, platforms, and newsletters.
